ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তরায় বিডিআর কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাসহ আটক-২ ডিরেক্টরস গিল্ডের স্বপথ অনুষ্ঠান শার্শায় বিজিবির তৎপরতায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ইয়াবা উদ্ধার কুমিল্লায় পুলিশের অভিযানে ০৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার প্রয়াত সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের পরিবারকে সহায়তার চেক প্রদান ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ ডাকাত গ্রেফতার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার একশো পরিবার পেল ‘স্বপ্নের নীড়’ সবুজের বুকে লাল আশ্রয়ন বুধবার দৃশ্যমান নওয়াগাঁও প্রকল্প উদ্বোধন মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও ষষ্ঠ শ্রেণীর নবীন বরণ অনুষ্ঠিত সাপাহারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেল আরও ৯৬ টি ভূমিহীন পরিবার

গার্মেন্টসকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করবে তিন সংগঠন

দেশের তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এক সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ইন্টেগ্রাল গ্লোবাল (আইজি) ও আয়াত এডুকেশন।

মঙ্গলবার (১১অক্টোবর) বিজিএমইএ ভবনে প্রতিষ্ঠান তিনটির প্রধানদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, আয়াত এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত আমান ও আইজির পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা নাবিল আহমেদ।

সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, গার্মেন্টস কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালীকরণ ও তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ, আইজি ও আয়াত এডুকেশন। একই সাথে বিভিন্ন কারখানা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত ও করোনার ঝুঁকি কমাতেও যৌথভাবে কাজ করবে এই তিনটি সংগঠন।

পোশাক খাতের প্রায় ৯৫ ভাগ শ্রমিক এখন পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৬৫ ভাগ ও তৃতীয় ডোজ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটা চলমান থাকায় গার্মেন্টস কর্মীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি খুব কঠোরভাবে পরিপালন করে আসছে। তবে এসব কর্মীদের মধ্যে করোনার ভয়াবহতার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

অনুষ্ঠানে আয়াত এডুকেশনের সিইও নুসরাত আমান বলেন, দেশে তৈরি পোশাক খাতে উন্নতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনেক সময় গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের সঠিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিতে গিয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হয়। এই যৌথ উদ্যোগ পোশাক শ্রমিকদের সুস্থতার প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে। এটা শুধুমাত্র তাদের শারীরিক সুস্থতার গুরুত্ব দেবে না, তাদের কাজের উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি করবে।

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের এই অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে কর্মীদের উৎপাদনশীলতার উন্নতি ঘটাবে এবং আমাদের কর্মীদের উন্নতির নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন সহযোগিতা করবে।

আইজির পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা নাবিল আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রভাব ছিল ব্যাপক। ২০২০ ও ২০২১ সাল ছিল পুরো বিশ্বের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। কোম্পানিগুলো বাধ্য হয়েছে তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে ও কর্মীদের ছেড়ে দিতে এবং উভয় পক্ষের মধ্যকার অসহায়ত্ব ছিল। কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এই অংশীদারিত্বমূলক সমঝোতায় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে আমরা সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার দিয়েছি। যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের স্বাস্থ্য বিপর্যয় থেকে আমরা তাদের নিরাপদ রাখতে পারি।

প্রাথমিকভাবে ইন্টেগ্রাল গ্লোবালের সহযোগিতায় আয়াত এডুকেশন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল মিলগুলোতে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রাথমিক পর্যায়টি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টরের কর্মীদের ভ্যাকসিন কর্মসূচি ৭৭ ভাগ এ এবং সহযোগী কারখানাগুলোর প্রতিরক্ষামূলক কার্যক্রম ৮৫ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। যা নিশ্চিতভাবেই কারখানাগুলোকে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়া থেকে নিরাপদ রেখেছে এবং সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়া দ্রুত কমাতে সক্ষম হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরায় বিডিআর কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাসহ আটক-২

গার্মেন্টসকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করবে তিন সংগঠন

আপডেট সময় ০৩:০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

দেশের তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এক সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ইন্টেগ্রাল গ্লোবাল (আইজি) ও আয়াত এডুকেশন।

মঙ্গলবার (১১অক্টোবর) বিজিএমইএ ভবনে প্রতিষ্ঠান তিনটির প্রধানদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, আয়াত এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত আমান ও আইজির পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা নাবিল আহমেদ।

সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, গার্মেন্টস কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালীকরণ ও তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ, আইজি ও আয়াত এডুকেশন। একই সাথে বিভিন্ন কারখানা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত ও করোনার ঝুঁকি কমাতেও যৌথভাবে কাজ করবে এই তিনটি সংগঠন।

পোশাক খাতের প্রায় ৯৫ ভাগ শ্রমিক এখন পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৬৫ ভাগ ও তৃতীয় ডোজ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটা চলমান থাকায় গার্মেন্টস কর্মীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি খুব কঠোরভাবে পরিপালন করে আসছে। তবে এসব কর্মীদের মধ্যে করোনার ভয়াবহতার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

অনুষ্ঠানে আয়াত এডুকেশনের সিইও নুসরাত আমান বলেন, দেশে তৈরি পোশাক খাতে উন্নতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনেক সময় গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের সঠিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিতে গিয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হয়। এই যৌথ উদ্যোগ পোশাক শ্রমিকদের সুস্থতার প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে। এটা শুধুমাত্র তাদের শারীরিক সুস্থতার গুরুত্ব দেবে না, তাদের কাজের উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি করবে।

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের এই অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে কর্মীদের উৎপাদনশীলতার উন্নতি ঘটাবে এবং আমাদের কর্মীদের উন্নতির নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন সহযোগিতা করবে।

আইজির পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা নাবিল আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রভাব ছিল ব্যাপক। ২০২০ ও ২০২১ সাল ছিল পুরো বিশ্বের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। কোম্পানিগুলো বাধ্য হয়েছে তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে ও কর্মীদের ছেড়ে দিতে এবং উভয় পক্ষের মধ্যকার অসহায়ত্ব ছিল। কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এই অংশীদারিত্বমূলক সমঝোতায় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে আমরা সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার দিয়েছি। যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের স্বাস্থ্য বিপর্যয় থেকে আমরা তাদের নিরাপদ রাখতে পারি।

প্রাথমিকভাবে ইন্টেগ্রাল গ্লোবালের সহযোগিতায় আয়াত এডুকেশন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল মিলগুলোতে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রাথমিক পর্যায়টি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টরের কর্মীদের ভ্যাকসিন কর্মসূচি ৭৭ ভাগ এ এবং সহযোগী কারখানাগুলোর প্রতিরক্ষামূলক কার্যক্রম ৮৫ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। যা নিশ্চিতভাবেই কারখানাগুলোকে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়া থেকে নিরাপদ রেখেছে এবং সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়া দ্রুত কমাতে সক্ষম হয়েছে।