ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রয়াত সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের পরিবারকে সহায়তার চেক প্রদান ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ ডাকাত গ্রেফতার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার একশো পরিবার পেল ‘স্বপ্নের নীড়’ সবুজের বুকে লাল আশ্রয়ন বুধবার দৃশ্যমান নওয়াগাঁও প্রকল্প উদ্বোধন মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও ষষ্ঠ শ্রেণীর নবীন বরণ অনুষ্ঠিত সাপাহারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেল আরও ৯৬ টি ভূমিহীন পরিবার শহীদ মিনার চত্ত্বরে পড়ে ছিল শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজে নবীন বরণ কেরানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর আতংকের নাম অর্পনা তাহিরপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেল ২৫টি গৃহহীন পরিবার

হোটেল আল মামুন আবাসিক যেনো দেহ ব্যবসা ও মাদক বাণিজ্যের কারখানা

রাজধানীর মিরপুরের আবাসিক হোটেল আল মামুনে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দেহব্যবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, মিরপুর এক নম্বরের হোটেল আল মামুন আবাসিকে কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই।

এই আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে। নিয়মানুযায়ী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কতৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। মালিক- মামুন চৌধুরীর নেতৃত্বে ম্যানেজার- জিএম আজাদের এর সহযোগীতায় দিন দিন বেড়েই চলেছে। হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বানিজ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপরের হযরত শাহ্ আলী (রঃ) মাজার শরীফে অবাধ চলাফেরা করার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে পালিয়ে, ব্যাক্তিগত কাজ, অন্যান্য কারনসহ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে আসা বিভিন্ন নারী-পুরুষ কোন আশ্রয় না পেলে এই মাজারে আশ্রয় নেয়। আর এখানে অবস্থানরত বিভিন্ন দালালেরা অসহায় নারীদেরকে টার্গেট করে কৌশলে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যায়। এমনকি দু-এক রাত হোটেলে রেখে তাদেরকে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে পাচারও করে দেয় এরা। রীতিমত ‘পীরসাহেবা’ সেজে মাজার শরীফ প্রাঙ্গনে বিভিন্ন আসন পেতে রকমারী আগরবাতি/মোমবাতি জ্বালিয়ে অবস্থানরত বেশ কিছু নারীও রয়েছেন এই দালালের তালিকায়।

মাজার শরীফের মূল প্রাঙ্গনে ঢুকলেই এই পীর সাহেবা মহিলাদের আসনগুলি ঘিরে নানা ধরনের মানুষকে তাদের ঘিরে বসে থাকতে দেখা যায়। মূলত এই লোকগুলোই তাদের পোষা দালাল। আর এই মহিলাদের মূল কাজই হচ্ছে নারী ব্যবসা। তারা নিজেদের এই আস্তানায় বসে কাস্টমার সন্ধানের পাশাপাশি নানা রকম মাদক ব্যবসা করে বলেও জানা গেছে। দূর দুরান্ত থেকে আসা মাজারে আশ্রয় নেয়া অসহায় মেয়েদেরকে ফুসলিয়ে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে নিজেদের বাসায় নিয়ে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করে এই পীরসাহেবাগণ।

এমনকি অসহায় আশ্রয়হীন মেয়েগুলোকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে পাচার করে দেয় এরাই। এই কাজেও সক্রিয় ভাবে হোটেল মালিক-পরিচালকগণ তাদেরকে সহযোগিতা করে। স্থনীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, হোটেল গুলোর মালিক-পরিচালকগণ প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না।তাছাড়া পুলিশের সাথেও তাদের সুম্পর্ক রয়েছে। ফলে এসকল অপকর্ম করতে তাদের তেমন কোন বেগ পেতে হয় না।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রয়াত সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের পরিবারকে সহায়তার চেক প্রদান

হোটেল আল মামুন আবাসিক যেনো দেহ ব্যবসা ও মাদক বাণিজ্যের কারখানা

আপডেট সময় ০৩:৫১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজধানীর মিরপুরের আবাসিক হোটেল আল মামুনে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দেহব্যবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, মিরপুর এক নম্বরের হোটেল আল মামুন আবাসিকে কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই।

এই আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে। নিয়মানুযায়ী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কতৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। মালিক- মামুন চৌধুরীর নেতৃত্বে ম্যানেজার- জিএম আজাদের এর সহযোগীতায় দিন দিন বেড়েই চলেছে। হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বানিজ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপরের হযরত শাহ্ আলী (রঃ) মাজার শরীফে অবাধ চলাফেরা করার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে পালিয়ে, ব্যাক্তিগত কাজ, অন্যান্য কারনসহ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে আসা বিভিন্ন নারী-পুরুষ কোন আশ্রয় না পেলে এই মাজারে আশ্রয় নেয়। আর এখানে অবস্থানরত বিভিন্ন দালালেরা অসহায় নারীদেরকে টার্গেট করে কৌশলে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যায়। এমনকি দু-এক রাত হোটেলে রেখে তাদেরকে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে পাচারও করে দেয় এরা। রীতিমত ‘পীরসাহেবা’ সেজে মাজার শরীফ প্রাঙ্গনে বিভিন্ন আসন পেতে রকমারী আগরবাতি/মোমবাতি জ্বালিয়ে অবস্থানরত বেশ কিছু নারীও রয়েছেন এই দালালের তালিকায়।

মাজার শরীফের মূল প্রাঙ্গনে ঢুকলেই এই পীর সাহেবা মহিলাদের আসনগুলি ঘিরে নানা ধরনের মানুষকে তাদের ঘিরে বসে থাকতে দেখা যায়। মূলত এই লোকগুলোই তাদের পোষা দালাল। আর এই মহিলাদের মূল কাজই হচ্ছে নারী ব্যবসা। তারা নিজেদের এই আস্তানায় বসে কাস্টমার সন্ধানের পাশাপাশি নানা রকম মাদক ব্যবসা করে বলেও জানা গেছে। দূর দুরান্ত থেকে আসা মাজারে আশ্রয় নেয়া অসহায় মেয়েদেরকে ফুসলিয়ে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে নিজেদের বাসায় নিয়ে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করে এই পীরসাহেবাগণ।

এমনকি অসহায় আশ্রয়হীন মেয়েগুলোকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে পাচার করে দেয় এরাই। এই কাজেও সক্রিয় ভাবে হোটেল মালিক-পরিচালকগণ তাদেরকে সহযোগিতা করে। স্থনীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, হোটেল গুলোর মালিক-পরিচালকগণ প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না।তাছাড়া পুলিশের সাথেও তাদের সুম্পর্ক রয়েছে। ফলে এসকল অপকর্ম করতে তাদের তেমন কোন বেগ পেতে হয় না।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করব।