ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আবারো শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাসের চৌধুরী পটুয়াখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি কুমিল্লা হোমনায় ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ট্রেনের ধাক্কায় বাবা ছেলে নিহত দুমকীতে কৃষি যন্ত্রপাতি পরিচিতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার ২নং লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২৩-এ দোয়া প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর ৫ (মিঠাপুকুর)-এ জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাকির হোসেন সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিন : সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি মাটি-মানুষের সংগঠন আ’লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী নগরীতে রান্না করতে গিয়ে কারেন্টের চুলোর উপর পড়ে নারীর মৃত্যু

দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হোটেল সিটি মহল আবাসিক

যৌনতা কোন নতুন বিষয় নয়। ইসলামেও যৌনতার কথা বলা আছে তবে তা বৈধ ভাবে, বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে অন্যান্য ব্যবসার ন্যায় যৌনতাও ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। রাজধানীর মিরপুরের আবাসিক হোটেল গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে দেহব্যবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ ।

এসব কর্মকান্ড তারা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। যদিও প্রশাসন ঐ সব হোটেল গুলোতে মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে, কিন্তু সুযোগ বুঝে তারা ঠিকই আবার ব্যবসা শুরু করে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, মিরপুর-১ সিটি মহল আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে । প্রকৃত পক্ষে আবাসিক হোটেলের বাহিরের আছে সাইন বোর্ড। তাই তাদের ধরা অনেক কঠিন। দালালের মাধ্যমে তারা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে খদ্দের জোগাড় করে। তাদের রয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনের বিশাল বাহিনী। স্কুলের ছাত্র থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত বাদ পড়ে না তাদের ডাক থেকে। প্রথমে তারা বলে ভাই লাগবে, কি লাগবে বললে তারা বলে সব ব্যবস্থা আছে। তারপর তারা উপরে নিয়ে যায়। যদি কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় তাহলেও পারে না, কারণ তাদের বিশাল বাহিনীর কাছে পরাজয় মেনে নিতে হয়। নিয়মানুযায়ী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কর্তৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। তারা হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চালাচ্ছে রমরমা মাদক বানিজ্য। হোটেল সিটি মহল ম্যানেজার আব্বাছ এর নেতৃত্বে  চলছে এই দেহ ব্যবসা।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে রাজধানীর মিরপুরের গোলচক্করের ফুট ওভার ব্রিজ, মিরপুর ১নং ওভার ব্রিজ ও ফার্মগেইট ওভারব্রিজে তাদের নিজস্ব লোক দ্বারা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ধরনের ভিজিটিং কার্ড বিলি করে। ফার্মগেটের ওভার ব্রিজ থেকে একটি হোটেল সিটি মহল নামের কার্ডে দেওয়া নম্বরে ফোন করলে বলে চলে আসেন শেওড়াপাড়া বাস ষ্ট্যান্ড । তারপর আমি আপনাকে নিয়ে নিব। প্রতিবেদকের পরিচয় দেওয়া মাত্র সে বলে ভাই কি করে খাব। দয়া করে আমার ক্ষতি করবেন না। পরে হোটেল সিটি মহলের মালিক কামাল এর সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে আপনি কি বলতে চান বলুন। তার হোটেলে অসামাজিক কাজের ব্যপারে প্রশ্ন করলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। পরে বলে এটা রং নম্বর। কিছু মহলকে উৎকোচ দিয়ে এই যৌন ব্যবসা চালায় বলে জানায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ হওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করে সচেতন মহল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আবারো শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাসের চৌধুরী

দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হোটেল সিটি মহল আবাসিক

আপডেট সময় ০৩:৪১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

যৌনতা কোন নতুন বিষয় নয়। ইসলামেও যৌনতার কথা বলা আছে তবে তা বৈধ ভাবে, বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে অন্যান্য ব্যবসার ন্যায় যৌনতাও ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। রাজধানীর মিরপুরের আবাসিক হোটেল গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে দেহব্যবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ ।

এসব কর্মকান্ড তারা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। যদিও প্রশাসন ঐ সব হোটেল গুলোতে মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে, কিন্তু সুযোগ বুঝে তারা ঠিকই আবার ব্যবসা শুরু করে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, মিরপুর-১ সিটি মহল আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে । প্রকৃত পক্ষে আবাসিক হোটেলের বাহিরের আছে সাইন বোর্ড। তাই তাদের ধরা অনেক কঠিন। দালালের মাধ্যমে তারা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে খদ্দের জোগাড় করে। তাদের রয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনের বিশাল বাহিনী। স্কুলের ছাত্র থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত বাদ পড়ে না তাদের ডাক থেকে। প্রথমে তারা বলে ভাই লাগবে, কি লাগবে বললে তারা বলে সব ব্যবস্থা আছে। তারপর তারা উপরে নিয়ে যায়। যদি কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় তাহলেও পারে না, কারণ তাদের বিশাল বাহিনীর কাছে পরাজয় মেনে নিতে হয়। নিয়মানুযায়ী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কর্তৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। তারা হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চালাচ্ছে রমরমা মাদক বানিজ্য। হোটেল সিটি মহল ম্যানেজার আব্বাছ এর নেতৃত্বে  চলছে এই দেহ ব্যবসা।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে রাজধানীর মিরপুরের গোলচক্করের ফুট ওভার ব্রিজ, মিরপুর ১নং ওভার ব্রিজ ও ফার্মগেইট ওভারব্রিজে তাদের নিজস্ব লোক দ্বারা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ধরনের ভিজিটিং কার্ড বিলি করে। ফার্মগেটের ওভার ব্রিজ থেকে একটি হোটেল সিটি মহল নামের কার্ডে দেওয়া নম্বরে ফোন করলে বলে চলে আসেন শেওড়াপাড়া বাস ষ্ট্যান্ড । তারপর আমি আপনাকে নিয়ে নিব। প্রতিবেদকের পরিচয় দেওয়া মাত্র সে বলে ভাই কি করে খাব। দয়া করে আমার ক্ষতি করবেন না। পরে হোটেল সিটি মহলের মালিক কামাল এর সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে আপনি কি বলতে চান বলুন। তার হোটেলে অসামাজিক কাজের ব্যপারে প্রশ্ন করলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। পরে বলে এটা রং নম্বর। কিছু মহলকে উৎকোচ দিয়ে এই যৌন ব্যবসা চালায় বলে জানায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ হওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করে সচেতন মহল।