ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রয়াত সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের পরিবারকে সহায়তার চেক প্রদান ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ ডাকাত গ্রেফতার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার একশো পরিবার পেল ‘স্বপ্নের নীড়’ সবুজের বুকে লাল আশ্রয়ন বুধবার দৃশ্যমান নওয়াগাঁও প্রকল্প উদ্বোধন মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও ষষ্ঠ শ্রেণীর নবীন বরণ অনুষ্ঠিত সাপাহারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেল আরও ৯৬ টি ভূমিহীন পরিবার শহীদ মিনার চত্ত্বরে পড়ে ছিল শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজে নবীন বরণ কেরানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর আতংকের নাম অর্পনা তাহিরপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেল ২৫টি গৃহহীন পরিবার

বঙ্গবন্ধুর হাতেই স্বাস্থ্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের অংশ হিসেবে সংযোজন, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের চাকরি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া এবং বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের বৈপ্লবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

dhakapost

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে গত সাড়ে ১৩ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। গণমুখী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সারাদেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স সাপোর্টিং স্টাফের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেডিকেল শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সহজ হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ও সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দেওয়া, স্বাস্থ্য খাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমানো, মাঠ পর্যায়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং সব স্তরের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত এবং এর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

dhakapost

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব ধরনের গবেষণা উপযোগী আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আশা করি এই হাসপাতালটি চালুর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল ও উন্নত করার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আরও অবদান রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন উপলক্ষে সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রয়াত সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের পরিবারকে সহায়তার চেক প্রদান

বঙ্গবন্ধুর হাতেই স্বাস্থ্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু

আপডেট সময় ০৬:৫২:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের অংশ হিসেবে সংযোজন, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের চাকরি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া এবং বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের বৈপ্লবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

dhakapost

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে গত সাড়ে ১৩ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। গণমুখী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সারাদেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স সাপোর্টিং স্টাফের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেডিকেল শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সহজ হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ও সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দেওয়া, স্বাস্থ্য খাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমানো, মাঠ পর্যায়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং সব স্তরের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত এবং এর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

dhakapost

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব ধরনের গবেষণা উপযোগী আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আশা করি এই হাসপাতালটি চালুর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল ও উন্নত করার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আরও অবদান রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন উপলক্ষে সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।